ঘুরে আসুন বানেরগাট্টা ন্যাশনাল পার্ক
Bannerghatta national park হলো ব্যাঙ্গালোর এর খুব কাছেই অবস্থিত একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এটি বেশ বড় জায়গা জুড়ে রয়েছ। এর পাশেই কিছুটা জায়গা জুড়ে তৈরি করা রয়েছে Bannerghatta biological park। এটি একটি কৃত্রিম বনভূমি। এখানে আপনি সাফারি করতে পারবেন এসি বা নন এসি বাসে করে, এছাড়া জিপ সাফারি ও আছে। আর আছে চিড়িয়াখানা (zoo), যেখানে অনেক ধরনের পশুপাখি দেখতে পাবেন। এখানে আছে একটি প্রজাপতি সংগ্রহালয়, যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রজাপতি সংরক্ষিত করা হয়, তার সাথে এদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বর্ণিত আছে।
বেঙ্গালুরু থেকে বানেরগাট্টা ন্যাশনাল পার্ক এ যেকোনো দিন সকাল বেলা বেরিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে ঘুরে আসা যায়। শনি রবিবার টিকিট এর দাম একটু বেশি থাকে আর একটু বেশি লোকজন যায়। সকাল সকাল পৌঁছাতে পারলে ভালো তাহলে সাফারির জন্য বেশিক্ষণ লাইন এ দাড়াতে হবে না।
আমরাও একটা শনিবার বেরিয়ে পড়লাম আমার বাইক নিয়ে। আমাদের বেরোতে দেরিও হয়ে গেছিলো। আপনারা ব্যাঙ্গালোর থেকে বাস বা taxi করে যেতে পারেন। Bannerghatta পর্যন্ত বাস যায় ব্যাঙ্গালোর এর বিভিন্ন বাস স্টপ থেকে। আমরা প্রায় ১ ঘণ্টার মতো বাইক চালিয়ে পৌঁছলাম bannerghatta তে। এখানে কার ও বাইক পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে। তারপর গেলাম টিকিট কাউন্টার এ। বেশ ভিড় ছিল শনিবার বলে। আমরা নন এসি বাস সাফারি ও চিড়িয়াখানার টিকিট কাটলাম। টিকিট এর বিবরণ এখানে পাবেন। সাথে ক্যামেরা ছিল বলে এক্সট্রা ২৫ টাকা। আমরা প্রজাপতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের টিকিট কাটলাম না সময় হবে না বলে। আগে সাফারি করে নেওয়া ভালো তাই লাইন এ দাড়িয়ে গেলাম। প্রায় ৪৫ মিনিট পর আমাদের সুযোগ এলো। ছবির তুলতে সুবিধা হবে বলে আমরা সামনের দিকে বসলাম। এখানে জঙ্গলটাকে কাঁটাতার দিয়ে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন পশু সংরক্ষিত করা রয়েছে।
বাসে বসে বেশ ভালই লাগছিলো কারণ রোজকার কাজ ছেড়ে একদিন পশুপাখি দের মধ্যে প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানোর জন্য। প্রথমে গেলাম হরিণ সংরক্ষন কেন্দ্রে। এখানে ছোপ ওলা ছোপ ছাড়া , শিং যুক্ত, শিং ছাড়া বিভিন্ন ধরনের হরিণ রাখা আছে। এরপর আমরা গেলাম হাতি সংরকণ কেন্দ্রে। দূর থেকে হাতিদের জল খাওয়া স্নান করা দেখলাম। তার পর একে একে গেলাম ভালুক, বাঘ, সাদাবাঘ, সিংহ এর সংরক্ষণ কেন্দ্রে। এখানে খুব কাছ থেকেই বন্য প্রাণী দের পর্যবেক্ষণ করা যায়। সাফারি প্রায় এক ঘণ্টার মতো ছিল। কৃত্রিম জঙ্গল বলে কিন্তু কাছথেকে সবকিছু দেখা যায়। অন্য সাফারির মতো হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা কম। নিচে আমার তোলা কয়েকটা ছবি দিলাম।

বেঙ্গল টাইগার
 |
সাদা বাঘ |
 |
সিংহী |
 |
হাতি |
সাফারি শেষ করে আমরা এবার গেলাম চিড়িয়াখানা। এখানে চিড়িয়াখানা টি বেশ বড় ও অনেক ধরনের পশুপাখি রাখা আছে। সব কিছু ভালো করে দেখতে প্রায় ঘন্টা দুই লাগবে। এখানে আমরা অনেক কিছুই দেখলাম।
 |
জেব্রা |
 |
জিরাফ |
চিড়িয়াখানার মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরণের জীব জন্তু যেমন বাঘ, সিংহ, চিতা, শেয়াল, নেকড়ে, জংলী কুকুর, বানর , হনুমান, হরিণ, জলহস্তী ইত্যাদি। এছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরণের পাখি ও সরীসৃপ। সব নাম ঠিকঠাক মনে নেই, ভুল হলে শুধরে দেবেন। নিচে আমার তোলা কিছু ছবি দিলাম।
 |
chameleon |
 |
এমু |
 |
হরিণ |
 |
জলহস্তি |
 |
জংলী কুকুর |
 |
চিতা |
 |
সিংহ |
 |
স্কারলেট ম্যাকাও |
 |
লাভ বার্ড |
 |
ম্যাকাও |
 |
ককটেল |
 |
চন্দ্রবোড়া |
 |
ড্রাগন টিকটিকি |
 |
Silver Pheasant |
 |
crowned crane |
 |
সাদা ময়ূর |
 |
ঘড়িয়াল |
 |
পেলিক্যান্ |
আপনি যদি প্রকৃতিও বন্য জীব জন্তু পছন্দ করেন তাহলে এই জায়গা খুব ভালো লাগবে। এটি সপরিবার এ বেড়াতে যাওয়ার মত জায়গা তা বলার অবকাশ রাখে না। এখানে গেলে হয়ত নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা শৈশব কে খুঁজে পেতে পারেন।
Comments
Post a Comment