Bangalore to Mysore road trip by bike
২৮ এ ডিসেম্বর, ২০১৮, অফিস থেকে বাড়ি ফিরলাম প্রায় রাত ১০ টা নাগাদ। সামনে বছরের শেষ দিন ও নতুন বছর শুরু। ২৯ ও ৩০ শনিবার ও রবিবার। বেড়াতে যেতে ইচ্ছা করছে কিন্তু কোথায় যাবো? ঠিক করলাম mysore ঘুরে আসি। সেই মত ব্যাগ গুছিয়ে রাখলাম। ম্যাপ এ দেখলাম ব্যাঙ্গালোর থেকে mysore প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার। সকাল বেলা বাইকে ব্যাগ বেঁধে বেরিয়ে পরলাম। সকাল ৮.৩০ এ বের হলাম। এইসময় ছুটি থাকে বলে প্রচুর লোক বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছে তাই রাস্তায় বিভিন্ন গাড়ি ও বাস এর ভালই জ্যাম পেলাম। অবশেষ এ শহরের ট্রাফিক ছেড়ে ২৭৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এ উঠলাম। এখানেও ভালই গাড়ির চাপ। রাস্তায় যেতে যেতে প্রথমে পরলো রামনগর। যেখানে বিখ্যাত শোলে সিনেমার শুটিং হয়েছিল। রাস্তার পাশ দিয়েই চলেছে ট্রেন লাইন। এখানে বেশ কিছু বড় টিলা দেখা যায় রাস্তা থেকেই। এর পর পড়ল Channapatna নামে একটি জায়গা, এটি কাঠের তৈরি বিভিন্ন খেলনা আর পুতুল এর জন্যে বিখ্যাত। তারপর পড়ল মদ্দুরু আর মান্ডিয়া নামে জায়গা। মাঝে একটা জায়গায় বাইক থামিয়ে কিছু খেয়ে নিলাম। মোবাইল থেকে হোটেল বুক করে নিলাম সেই ফাঁকে। মাইসোর এর হোটেল পৌঁছলাম প্রায় ১ টা ৩০ নাগাদ। স্নান সেরে , দুপুরের খাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে বেরোলাম মাইসোর প্যালেস এর উদ্দেশ্যে। মাইসরের রাস্তা বেশ সুন্দর ও ফাঁকা ফাঁকা। বিভিন্ন চৌমাথা তে সুন্দর মূর্তি বসানো রয়েছে। দেখতে দেখতে পৌঁছলাম বিখ্যাত মাইসোর প্যালেস।
মাইসোর প্যালেস চত্বর টি বিশাল জায়গা জুড়ে। এটি গোলাপি রঙের গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরী। মূল প্রাসাদ টি প্রায় ২৪৫ ফুট লম্বা ও ১৫৬ ফুট চওড়া, চারিদিকে বিভিন্ন ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা। প্রাসাদের তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে: পূর্ব প্রবেশপথ (দুর্গাপুজো ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জন্য), উত্তর প্রবেশপথ (জনসাধারণের জন্য) এবং পশ্চিম প্রবেশপথ (সাধারণত দুর্গাপুজো সময় খোলা হয়)। প্রাসাদের মধ্যে অনেক গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে যেগুলো শ্রীরঙ্গপাটনা ও অন্যান মাইসোর এর প্রাসাদের সাথে যুক্ত।
এখানকার মাইসোর প্যালেস এর জায়গায় আগে কাঠের তৈরী প্রাসাদ ছিল, কিন্তু দশেরা তে রাবন বধ এর সময় আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেই জন্যে নতুন করে প্যালেস টি তৈরী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯১২ সালে মূল প্রাসাদ এর কাজ সমাপ্ত হয়, যেটি পরে বর্ধিত করা হয়।
প্যালেস এর ভিতরে অসম্ভব সুন্দর কারুকার্য করা দেওয়াল, গম্বুজ , তৈলচিত্র ও খুব সুন্দর ইন্দো-সরেননিক শিল্পকলা অর্থাৎ হিন্দু, মুগল, রাজপুত, এবং গোথিক শৈলীর মিশ্রণের কারুকার্য রয়েছে, যা সত্যিই আপনাকে মনোমুগ্ধ করবে । মাইসোর এর রাজা চামুন্ডি দেবীর ভক্ত ছিলেন তাই মাইসোর প্যালেস চামুন্ডি পাহাড় ও চামুন্ডি দেবীর মন্দিরের দিকে মুখ করে বানান।
শীতের সময় এখানে একটি পুষ্প প্রদর্শনী ও হয় । তার কিছু ছবি নিচে দিলাম।
মাইসোর প্যালেস দেখে আমরা বৃন্দাবন গার্ডেন এর উদ্যেশে রওনা দিলাম। বৃন্দাবন গার্ডেন এ পৌছালাম যখন তখন প্রায় সন্ধে হয়ে গেছে। এটি খুব সুন্দর একটি বাগান যেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ ফুল, কৃত্রিম ঝর্ণা বা ফোয়ারা দিয়ে সাজানো, বিশেষত সন্ধ্যার সময় চারিদিক লাইট দিয়ে সাজানো থাকে। এখানে একটি মিউজিক্যাল ফাউন্টেন এর একটি ছোট অনুষ্ঠান হয় যেটি দেখার জন্যে দূর দূর থেকে লোক আসে। বৃন্দাবন গার্ডেন দেখে আমরা আবার ফিরে এলাম রাতের মাইসোর প্যালেস দেখতে।
রাতের মাইসোর প্যালেস অতীব সুন্দর। আলো দিয়ে , প্যালেস, গেট ও বাকি জায়গা এমন ভাবে সাজানো থাকে যে মনে হয় সোনা দিয়ে কেউ মুড়িয়ে দিয়েছে। এখানে বিশেষ বিশেষ দিনে কিছু অনুষ্ঠান হয়। আমরা যেদিন গেছিলাম সেই দিন খুব সুন্দর একটি বাঁশির অনুষ্ঠান চলছিল। এখানেই কিছুটা সময় কাটিয়ে ফিরে এলাম হোটেল এ।
পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে আমরা গেলাম সেন্ট ফিলোমিনা চার্চ দেখতে । এখানে সকাল বেলায় কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা গেলাম কারাঞ্জি লেক দেখতে। এখানে একটি খুব সুন্দর বাগান ও জলাশয় রয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরণের পাখি আসে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, ফুল , অর্কিড দিয়ে সাজানো।
এরপর আমরা গেলাম লালিতমোহন প্যালেস দেখতে। এটি একটি বেশ সুন্দর প্যালেস, বর্তমানে এটি থ্রী-ষ্টার হোটেল। এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা হোটেল ফিরে গেলাম।
এরপর ব্যাগপত্র গুছিয়ে আমরা গেলাম চামুন্ডি দেবীর মন্দির এর উদেশ্যে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে আমরা পৌছালাম। এখানে একটি ভিউ পয়েন্ট থেকে পুরো মাইসোর শহর টা দেখা যায়। এখানে মন্দির দর্শন করে আমরা রওনা দিলাম বেঙ্গালুরু এর দিকে।
মাইসোর প্যালেস চত্বর টি বিশাল জায়গা জুড়ে। এটি গোলাপি রঙের গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরী। মূল প্রাসাদ টি প্রায় ২৪৫ ফুট লম্বা ও ১৫৬ ফুট চওড়া, চারিদিকে বিভিন্ন ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা। প্রাসাদের তিনটি প্রবেশদ্বার রয়েছে: পূর্ব প্রবেশপথ (দুর্গাপুজো ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জন্য), উত্তর প্রবেশপথ (জনসাধারণের জন্য) এবং পশ্চিম প্রবেশপথ (সাধারণত দুর্গাপুজো সময় খোলা হয়)। প্রাসাদের মধ্যে অনেক গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে যেগুলো শ্রীরঙ্গপাটনা ও অন্যান মাইসোর এর প্রাসাদের সাথে যুক্ত।
এখানকার মাইসোর প্যালেস এর জায়গায় আগে কাঠের তৈরী প্রাসাদ ছিল, কিন্তু দশেরা তে রাবন বধ এর সময় আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেই জন্যে নতুন করে প্যালেস টি তৈরী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯১২ সালে মূল প্রাসাদ এর কাজ সমাপ্ত হয়, যেটি পরে বর্ধিত করা হয়।
প্যালেস এর ভিতরে অসম্ভব সুন্দর কারুকার্য করা দেওয়াল, গম্বুজ , তৈলচিত্র ও খুব সুন্দর ইন্দো-সরেননিক শিল্পকলা অর্থাৎ হিন্দু, মুগল, রাজপুত, এবং গোথিক শৈলীর মিশ্রণের কারুকার্য রয়েছে, যা সত্যিই আপনাকে মনোমুগ্ধ করবে । মাইসোর এর রাজা চামুন্ডি দেবীর ভক্ত ছিলেন তাই মাইসোর প্যালেস চামুন্ডি পাহাড় ও চামুন্ডি দেবীর মন্দিরের দিকে মুখ করে বানান।
শীতের সময় এখানে একটি পুষ্প প্রদর্শনী ও হয় । তার কিছু ছবি নিচে দিলাম।
মাইসোর প্যালেস দেখে আমরা বৃন্দাবন গার্ডেন এর উদ্যেশে রওনা দিলাম। বৃন্দাবন গার্ডেন এ পৌছালাম যখন তখন প্রায় সন্ধে হয়ে গেছে। এটি খুব সুন্দর একটি বাগান যেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ ফুল, কৃত্রিম ঝর্ণা বা ফোয়ারা দিয়ে সাজানো, বিশেষত সন্ধ্যার সময় চারিদিক লাইট দিয়ে সাজানো থাকে। এখানে একটি মিউজিক্যাল ফাউন্টেন এর একটি ছোট অনুষ্ঠান হয় যেটি দেখার জন্যে দূর দূর থেকে লোক আসে। বৃন্দাবন গার্ডেন দেখে আমরা আবার ফিরে এলাম রাতের মাইসোর প্যালেস দেখতে।
রাতের মাইসোর প্যালেস অতীব সুন্দর। আলো দিয়ে , প্যালেস, গেট ও বাকি জায়গা এমন ভাবে সাজানো থাকে যে মনে হয় সোনা দিয়ে কেউ মুড়িয়ে দিয়েছে। এখানে বিশেষ বিশেষ দিনে কিছু অনুষ্ঠান হয়। আমরা যেদিন গেছিলাম সেই দিন খুব সুন্দর একটি বাঁশির অনুষ্ঠান চলছিল। এখানেই কিছুটা সময় কাটিয়ে ফিরে এলাম হোটেল এ।
পরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে আমরা গেলাম সেন্ট ফিলোমিনা চার্চ দেখতে । এখানে সকাল বেলায় কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা গেলাম কারাঞ্জি লেক দেখতে। এখানে একটি খুব সুন্দর বাগান ও জলাশয় রয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরণের পাখি আসে। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, ফুল , অর্কিড দিয়ে সাজানো।
এরপর আমরা গেলাম লালিতমোহন প্যালেস দেখতে। এটি একটি বেশ সুন্দর প্যালেস, বর্তমানে এটি থ্রী-ষ্টার হোটেল। এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে আমরা হোটেল ফিরে গেলাম।
এরপর ব্যাগপত্র গুছিয়ে আমরা গেলাম চামুন্ডি দেবীর মন্দির এর উদেশ্যে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে আমরা পৌছালাম। এখানে একটি ভিউ পয়েন্ট থেকে পুরো মাইসোর শহর টা দেখা যায়। এখানে মন্দির দর্শন করে আমরা রওনা দিলাম বেঙ্গালুরু এর দিকে।
আপনাদের মন্তব্য নিচে কমেন্ট এ জানাবেন আর ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন। আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে এই ব্লগটি Subscribe করুন ।
Book your Nepal tour package at best price with AmazingIndiaTours.Com. Click now to get exclusive deals on Nepal holiday packages with airfare, hotel and sightseeing.
ReplyDeleteIndia and Nepal Tour & Holiday Packages
Best Tourist Destinations Tour Packages India
Amazing India Tours
booking@amazingindiatours.com
+91 8929047833
I examine your article. Its mind-blowing with loads of treasured data you have share with us. Peruse increasingly more about
ReplyDeleteMalam Jabba
Nice Blog.!!. Photos are so stunning. thanks for sharing.
ReplyDeleteBook your agra tour with us -
sunrise taj mahal tour